News Report In Details

#26. স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত: অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান

1 month, 3 weeks ago

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনসহ অন্যান্য অংশীজনদের পরামর্শের আলোকে আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। 

বেসরকারি হাসপাতালে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো প্রণয়ন, মানহীন ম্যাটস বন্ধ, ম্যাটসদের উপাধি নির্ণয়ে কমিটি গঠন, বিসিএস এ চিকিৎসকদের বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন চিকিৎসকদের দীর্ঘ দিনের আলোচিত একটি বিষয় বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দায়িত্বপ্রাপ্তির পর এটাকে প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছিলাম। কিন্তু ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এগুলো আমরা ইনকরপোরেট করতে আগ্রহী। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংক্রান্ত পরামর্শগুলো ১৮ তারিখের মধ্যে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। তাদের পরামর্শের আলোকে আমরা দ্রুত এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন অথবা একটু পরিবর্তন করে স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন—যে নামেই হোক না কেন, সংস্কার কমিশনের পরামর্শ ও সকল স্টেক হোল্ডারদের পরামর্শের আলোকে দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে আইনটি জনসমক্ষে আনতে পারবো।’

 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, মানহীন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল বন্ধের পাশাপাশি চিকিৎসা শিক্ষার সকল শাখায় মানের সংরক্ষণও নিশ্চিত করা হবে।

 

তিনি বলেন, ‘মানহীন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রথমে চিহ্নিতকরণ করে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র ভর্তি হয়ে আছেন, এমন শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। কিন্তু নতুন ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে।’

বিএসএমএমইউ এর সাবেক উপাচার্য আন্দোলনরত চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গতকাল বুধবার ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা যৌথ বিবৃতিতে কর্মবিরতি ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও আমরা জানতে পেরেছি যে, শিক্ষার্থীরা এখনো তাদের কর্মসূচি পালন করছেন। আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মীদের) মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, যেহেতু আমরা তাদের দাবি পূরণের জন্য কাজ করছি, তাই তারা যেন তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।